আল্লাহর ৯৯ নামের আমল ও দোয়া।
আল্লাহর ৯৯ নামের আমল ও দোয়া
আল্লাহর ৯৯ নাম পড়ার নিয়মঃ
আল্লাহর নামসমূহ দুইভাবে পড়া
যায়ঃ
1.নামের শুরুতে আলিফ লাম যুক্ত করে।যেমনঃ আর রাহমানু
2. নামের শুরুতে ইয়া যুক্ত করে । যেমনঃ ইয়া রাহমানু
পবিত্র কোরআন ও হাদীসের
বানী সমুহঃ
হযরত আবু
হোরায়রা (রাঃ) বলেন, নবী করিম (সাঃ) এরশাদ করেছেন আল্লাহ তালার
৯৯টি নাম রয়েছে যে তা মুখস্থ করবে সে বেহেশ্তে প্রবেশ করবে।
এই হাদীসের
অন্যত্র এরূপ আছে, যে ব্যক্তি এই নামগুলো মুখস্থ করে নিবে সে
নিশ্চয়ই বেহেশতে প্রবেশ করবে। এই নাম গুলো হচ্ছে আল্লাহর, যিনি
ব্যতিত কোন মাবুদ নেই।
কোরআন হাদীসের বাণী
আর
আল্লাহর জন্য রয়েছে সব উত্তম নাম। কাজেই সে নাম ধরেই তাঁকে ডাক।
(সূরা আল আ’রাফ: ১৮০)
আল্লাহ্ তা’আলার
রয়েছে নিরানব্বইটি নাম, একশো থেকে একটি কম, যে এই নামগুলি মনে রাখবে, বুঝবে
এবং উপলব্ধি করবে, সে জান্নাহ -তে যাবে।
বুখারি ৩.৫০:৮৯৪
সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম ও অন্যান্য গ্রন্থে সংকলিত হাদীসে
আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন :
নিশ্চয় আল্লাহর ৯৯টি
নাম আছে, ১০০র একটি কম, যে ব্যক্তি এ নামগুলো সংরক্ষিত রাখবে বা হিসাব রাখবে সে
জান্নাতে প্রবেশ করবে।
এ হাদীসে নামগুলো বিবরণ
দেয়া হয় নি।এক্ষেত্রে আগ্রহী মুসলিম চিন্তা করেন, রাসূলুল্লাহ
ﷺ ৯৯ টি নাম হিসাব রাখতে নির্দেশনা দিলেন কিন্তু নামগুলোর নির্ধারিত
তালিকা দিলেন না কেন? এ প্রশ্নের উত্তরে
উলামায়ে কেরাম বলেন যে,
কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ
বিষয় আংশিক গোপন রাখা হয়, মুমিনের কর্মোদ্দীপনা
বৃদ্ধির জন্য।
যেমন, লাইলাতুল কাদর। জুম’আর
দিনের দোয়া কবুলের সময়, ইত্যাদি। অনুরূপভাবে
নামের নির্ধারিত তালিকা না বলে আল্লাহর নাম সংরক্ষণ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, যেন বান্দা আগ্রহের সাথে কুরআন কারীমে আল্লাহর যত নাম
আছে সবই পাঠ করে, সংরক্ষণ করে এবং সে সকল
নামে আল্লাহকে ডাকতে থাকে এবং সেগুলির ওসীলা দিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করে।
বুখারী, আস-সহীহ
২/৯৮১, নং ২৫৮৫, মুসলিম, আস-সহীহ ৪/২০৬৩, নং ২৬৭৭।
আল্লাহর ৯৯ টি নাম –
সত্তাগত নামঃ
১.ইয়া
আল্লাহঃ
الله يآ
*যে ব্যক্তি
দৈনিক ১০০ বার আল্লাহর নামটি জিকির করবে, আল্লাহপাক
তার ঈমান দৃঢ় করবে। পার্থিব কোন লোভ-লালসা বা ছলনা তার ঈমান নষ্ট করতে পারবে না।
আল্লাহর নাম কুরআনে যেখানে যেখানে যেখানে আছেঃ
সূরা ফাতিহা: ১ নং আয়াত ,
সূরা আল ইমরানঃ ১৮ নং আয়াত,
সূরা মায়ীদাহঃ ১০৯ নং আয়াত,
সূরা আনয়ামঃ ১২৪ নং আয়াত,
সূরা আরাফঃ ১৮০ নং আয়াত ,
সূরা আনফালঃ ৪০ নং আয়াত ,
সূরা আন নাহলঃ ৯১ নং আয়াত ,
সূরা ত্বোয়াহাঃ ৮ নং আয়াত ,
সূরা আল হাদীদঃ ৫ নং আয়াত,
আল্লাহর কিছু বৈশিষ্ট্য হলোঃ
১. আল্লাহর কোন অংশীদার নেই, কোন সমকক্ষ নেই এবং কোন প্রতিদ্বন্দ্বী নেই;
২. আল্লাহর
কোন পিতা, মা, পুত্র বা
স্ত্রী নেই;
৩. কাউকে বা
কিছু একটি মধ্যবর্তী হিসেবে কাজ করা ছাড়াই সরাসরি আল্লাহর উপাসনা করা যায়;
৪. আল্লাহর
কেউ এর উপাসনার প্রয়োজন হয় না;
৫. আল্লাহ
কারো জবাবদিহি হয় না;
৬. আল্লাহ
কোন ব্যক্তি বা জিনিসের উপর নির্ভরশীল নয়. বরং সকল ব্যক্তি এবং সবকিছু আল্লাহর
উপর নির্ভরশীল;
৭. আল্লাহ
কারো সহায়তা ছাড়াই সবকিছু সৃষ্টি করতে পারেন;
৮. কিছুই
আল্লাহর উপরে বা আল্লাহর সঙ্গে তুলনীয় নয়;
৯. বিদ্যমান
কিছুই নেই যা সম্পূর্ণভাবে আল্লাহর পরাধীন নয়;
১০. কেউ
প্রতিরোধ করতে পারেন না, যা আল্লাহ প্রদান করে, আর কেউ প্রদান করতে পারেনা যা আল্লাহ প্রতিরোধ করে;
১১.
শুধুমাত্র আল্লাহই কারো উপকার বা ক্ষতি করতে পারে, এই ক্ষমতা
অন্য কেউ রাখে না।
আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে ইরশাদ
হচ্ছেঃ
সূরা আল ইখলাসঃ
بِسْمِ
اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
আরবি উচ্চারণ
বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম
বাংলা অনুবাদ
পরম করুণাময় অতি দয়ালু
আল্লাহর নামে শুরু করছি।
১১২.১।
قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ
আরবি উচ্চারণ:
কুল্ হুওয়াল্লা-হু আহাদ্।
বাংলা অনুবাদ:
বল,
তিনিই আল্লাহ,
এক-অদ্বিতীয়।
১১২.২।
اللَّهُ الصَّمَد
আরবি উচ্চারণ:
আল্লা-হুচ্ছমাদ্।
বাংলা অনুবাদ
আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নন,
সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী।
১১২.৩।
لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَد
আরবি উচ্চারণ:
লাম্ ইয়ালিদ্ অলাম্
ইয়ূলাদ্।
বাংলা অনুবাদ:
তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকেও
জন্ম দেয়া হয়নি।
১১২.৪।
وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَد
আরবি উচ্চারণ:
অলাম্ ইয়া কুল্লাহূ
কুফুওয়ান্ আহাদ্।
বাংলা অনুবাদ:
আর তাঁর কোন সমকক্ষও নেই।
গুনবাচক নামঃ
২.ইয়া
রাহমানুঃ
الرَّحْمَنُ يآ
-সবচাইতে
দয়ালু, কল্যাণময়, করুণাম।
*যে ব্যক্তি
দৈনিক প্রত্যেক নামাজের পরে ১০০ বার “ইয়া-রাহমানু” পড়বে ইনশাল্লাহ তার অন্তর
থেকে সকল প্রকার কর্কশতা ও গাফলতি দূর হবে।
৩.ইয়া
রাহীমুঃ
يآ الرَّحِيمُ
- সবচাইতে
ক্ষমাশীল।
*যে ব্যক্তি
দৈনিক প্রত্যেক নামাজের পরে ১০০ বার “ইয়া-রাহীমু” পড়বে আল্লাহতালা দুনিয়াবিদ
বালা মসিবত দূর করে দিবেন।
৪.ইয়া
মালিকুঃ
يآ الْمَلِكُ
- মালিক, অধিপ।
*যে ব্যক্তি
ফজরের নামাজের পর প্রত্যহ ১০০ বার “ইয়া-মালিকু” বলবে আল্লাহতালা তাকে ধনী করে
দিবেন।
৫.ইয়া
কুদ্দুসুঃ
الْقُدُّوسُ يآ
- ক্বুদ্দূস, পূতঃপবিত্র, নিখুঁত।
*যে ব্যক্তি
প্রত্যহ সূযাস্তের সময় এই নামটি ১০০ পাঠ করবে আল্লাহ তার মনের বিদ্বেষ দূর করে
দিবেন।
৬.ইয়া
সালামুঃ
السَّلَامُ يآ
- সালাম, শান্তি এবং নিরাপত্তার উৎস, ত্রাণকর্।
*যে ব্যীক্ত
এই নামটি “ইয়া-সালাম” বেশি বেশি পাঠ করবেন আল্লাহ তার সকল প্রকার বালা মুসিবত
থেকে বাঁচিয়ে রাখবেন।
৭.ইয়া
মুমিনুঃ
الْمُؤْمِنُ
يآ
- মু’মিন, জামিনদার, সত্য
ঘোষণাকারী,বিশ্বাসী।
*যে ব্যক্তি
কোন ভয়ের সময় ৩৩ বার এই নামটি পড়বে আল্লাহ পাক সর্ব প্রকার ভয়-ভীতি ও ক্ষতি
থেকে নিরাপদে রাখবেন।
৮.ইয়া
মুহাইমিনুঃ
الْمُهَيْمِنُ يآ
- মুহাইমিন, অভিভাবক, প্রতিপালক।
*যে ব্যক্তি
গোসল করে দুই রাকাত নামাজ পড়ে খাস দিলে ১০০ বার “ইয়া-মুহাইমিনু” এই নামটি পড়বে
আল্লাহ তালা তার ভিতর ও বাহির করে দিবেন।
৯.ইয়া
আযীযুঃ
الْعَزِيز يآ
-’আযীয, সর্বশক্তিমান, সবচেয়ে
সম্মানিত।
*যে ব্যক্তি
৪০ দিন পর্যন্ত একাধারে ৪০ বার “ইয়া-আযিযু” পড়বে আল্লাহপাক তাকে সম্মানিত ও
অমুখাপেক্ষী করে দিবেন।
১০.ইয়া
জাব্বারঃ
الْجَبَّار يآ
- জাব্বার, দুর্নিবার, সমুচ্চ, মহিমান্বিত।
*কেউ যদি
উক্তি নামটি হাতের আংটির পাথরে খোদাই করে ব্যবহার করে, তবে সে যেখানেই
গমন করুক না কে লোকে তাকে সম্মান করবে।
১১.ইয়া
মুতাকাব্বিরঃ
الْمُتَكَبِّرُ يآ
-মুতাকাব্বির,সর্বশ্রেষ্ঠ, গৌরবান্বিত।
*যে ব্যক্তি
নিদ্রা যাওয়ার পূর্বে অযু করে পবিত্রাবস্থায় এই নাম পাঠ করবে, আল্লাহ
তাকে ভয়-ভীতি পূর্ণ কোন স্বপ্ন দেখাবেন না।
১২.ইয়া
খালিকুঃ
الْخَالِقُ يآ
-খলিক্ব ,সৃষ্টিকর্তা, শূন্য থেকে।
*যে ব্যক্তি
একাধারে ৭ দিন পর্যন্ত এই নামটি সদা সর্বদা জিকির করিবে, আল্লাহ
তালা তাকে বিপদ-আপদ থেকে মুক্ত রাখবেন।
১৩.ইয়া
বারিউঃ
الْبَارِئُ يآ
-বারি। বিবর্ধনকারী, নির্মাণকর্তা, পরিকল্পনাকা।
এই পবিত্র নামটি প্রত্যহ ৭ বার পড়িলে কবর
আযাব হইতে মুক্তি পাওয়া যায়।
১৪.ইয়া
মুছাভিরঃ
الْمُصَوِّرُ يآ
-মুসউয়ির ,আকৃতিদানকারী।
যে স্ত্রী লোকের সন্তান হয় না কিংবা সন্তান গর্ভে নষ্ট হইয়া যায়,সে স্ত্রী লোক ৭
দিন
রোজা রাখিয়া প্রত্যেক দিন ইফতারের সময় এই
নাম ২১ বার পড়িয়া পানির উপর ফুঁক দিয়া ঐ
পানির দ্বারা ইফতার করিবে এবং ইফতারের পর
এই পবিত্র নামটি ২১ বার পড়িলে ইনশাআল্লাহ তাহার
গর্ভ সঞ্চার হইবে ও রক্ষা পাইবে।
১৫.ইয়া
গাফ্ফারঃ
الْغَفَّارُ يآ
-গফ্ফার, পুনঃপুনঃ মার্জনাকারী।
এই পবিত্র নামটি জুমার নামাজের পর ১০০ বার পড়িলে গুনাহ মাফ
হয়,যাবতীয় অভাব দূর হয় ও সুখে বাস করা যায়।,ইয়া গাফফারু ইগফির লী যুনুবী, পাঠ করিলে গুনাহ মাফ হয়. অর্থঃহে অপরাধ
ক্ষমাকারী!আমার অপরাধ ক্ষমা কর।
১৬.ইয়া
কাহ্হারঃ
الْقَهَّارُ يآ
-ক্বহ্হার, দমনকারী।
সর্বদা এই নাম যিকির করিলে সংসারের মায়া
মমতা দূর হয়,
আল্লাহ্ ব্যতীত কাহারও খেয়াল মনের মধ্যে
থাকে না এবং শত্রুর উপর প্রভাব বিস্তার করা যায়।
১৭.ইয়া
ওয়াহ্হাবুঃ
الْوَهَّابُ
-ওয়াহ্হাব
,স্থাপনকারী।
চাশত নামাযের পর সেজদায় যাইয়া এই পবিত্র
নাম ১০০ বার
পাঠ করিলে ধন ও প্রতাপের অধিকারী হওয়া
যায়।মধ্য রাত্রে নির্জন ঘরে কিংবা মসজিদে খালি মাথায়
বসিয়া হাত উঠাইয়া এই পবিত্র নাম ১০০ বার
পড়িলে মনের বাসনা পূর্ণ হয়।
১৮.ইয়া
রায্যাকুঃ
الرَّزَّاقُ يآ
-আর-রযযাক্, প্রদানকারী,রিযিক দান কারী।
ফজরের নামাযের পূর্বে এই নাম ঘরের প্রত্যেক
কোনে ১০ বার
করিয়া পড়িলে অভাব দূর হয়।
১৯.ইয়া
ফাওাহুঃ
الْفَتَّاحُ يآ
-ফাত্তাহ়্,প্রারম্ভকারী, বিজয়দানকারী।
ফজরের নামাযের পর বুকের উপর হাত রাখিয়া ৭
বার এই নাম
পড়িলে মনের কালিমা দূর হয় সকল কাজ
সহজসাধ্য হয়,অভাব দূর হয় ও
ভাগ্যের উন্নতি হয়।
২০.ইয়া আলীমুঃ
الْعَلِيمُ يآ
-আলীম
সর্বজ্ঞানী, সর্বদর্শী।
এই পবিত্র নামটি সর্বদা যিকির করিলে জ্ঞান
বৃদ্ধি পায়,গোনাহ মাফ হয় ও
মনের কপাট খুলিয়া যায়।
২১.ইয়া
কাবিদুঃ
الْقَابِضُ يآ
-ক্ববিদ় ,নিয়ন্ত্রণকারী, সরলপথ
প্রদর্শনকারী।
৪০ দিন পর্যন্ত এই নাম রুটির প্রথম লোকমায়
লিখিয়া খাইলে জীবনে কখনও ক্ষুধায় কষ্ট পাইবে না।
জীন ভূতের আছর ও যাদুর আক্রমণ
হইতে রক্ষা পাওয়া যায়।
২২.ইয়া
বাসিতুঃ
الْبَاسِطُ يآ
-বাসিত , প্রসারণকারী।
জরের নামাযের পর হাত উঠাইয়া এই পবিত্র
নামটি ১০ বার
পড়িয়া হাত মুখের উপর মালিশ করিলে কখনও
অন্যের মুখাপেক্ষী হইবে না এবং রুজিতে বরকত হইতে থাকিবে।
২৩.ইয়া
খাফিদুঃ
الْخَافِضُ يآ
-খ়¯ফিদ় , (অবিশ্বাসীদের) অপমানকারী।
৫০০ বার এই নাম পড়িলে মনের বাসনা পূর্ণ হয়
এবং ৭০০ বার পড়িলে
শত্রুর অপকার হইতে রক্ষা পাওয়া যায়।
২৪.ইয়া
রাফিউঃ
الرَّافِعُ يآ
-ঢ়¯ফি, উন্নীতকারী।
দিনে ও রাতে শুইবার সময় এই পবিত্র নামটি
১০০ বার পড়িলে
সকল বিপদাপদ হইতে রক্ষা পাওয়া যায় সম্মান
লাভ হয়। ৬০০ বার পড়িলে অত্যাচারীর হাত হইতে
রক্ষা পাওয়া যায়।
২৫.ইয়া
মুইযয়ুঃ
الْمُعِزُّ يآ
-মুইয্ব , সম্মানপ্রদানকারী ।
সোমবার ও শুক্রবার নামাযের পর এই পাক নাম
৪০ বার পড়িলে
সংসারে প্রতাপশালী হওয়া যায় এবং সকলের
নিকট সম্মান লাভ করা যায়।
২৬.ইয়া
মুযিল্লুঃ
الْمُذِلُّ يآ
-মুঝ়িল , সম্মানহরণকারী ।
নামাযের পর সেজদায় গিয়া ৭৫ বার এই পাক নাম
পড়িয়া আল্লাহ্র
নিকট প্রার্থনা করিলে শত্রুতা হইতে রক্ষা পাওয়া
যায়।
২৭.ইয়া
সামীউঃ
السَّمِيعُ يآ
-সামী,সর্বশ্রোতা।
বৃহস্পতিবার চাশত নামাযের পর কাহারও সহিত
কথা না বলিয়া এই পাক নাম ৫০০ বার পড়িয়া যে দোয়া করিবে
তাহা কবুল হইবে।
২৮.ইয়া
বাছীরঃ
الْبَصِيرُ يآ
-বাসী়র ,সর্বদ্রষ্টা।
জুমার নামাযের সুন্নত ও ফরযের মধ্যে এই পাক
নাম ১০০ বার পড়িলে আল্লাহ্র নিকট আদরণীয় হইবে,দৃষ্টিশক্তি
তীক্ষ্ণ হইবে এবং সৎ কাজ করিবার সাহস,শক্তি ও ইচ্ছা
পাইবে।
২৯.ইয়া
হাকামুঃ
الْحَكَمُ يآ
-হা়কাম ,বিচারপতি।
কোন কঠিন কাজ উপস্থিত হইলে এই পাক নাম
যিকির করিলে কাজ সহজসাধ্য হইবে।রাত্রে এই পাক নাম যিকির
করিলে মনের পবিত্রতা লাভ হয়।
৩০:ইয়া
আদলুঃ
الْعَدْلُ يآ
-আদল্ ,নিখুঁত।
শুক্রবারে রাত্রে ২০ টুকরা রুটির উপর এই
পাক নাম লিখিয়া খাইলে মানুষ থাকিবে ও মনের পরিবর্তন
হইবে।
৩১.ইয়া
লাত্বিফুঃ
اللَّطِيفُ يآ
-লাতীফ, অমায়িক।
অযু করিয়া এই পাক নাম ৪০০ বার পাঠ করিলে
মনের বাসনা পূর্ণ হয়,সকল কাজ শান্তিতে
সুসম্পন্ন হয়।অবিবাহিত
মেয়ে এই নাম যিকির করিলে বিবাহের
বন্দোবস্ত হয়।দৈনিক ১৩১ বার পড়িলে রুজিতে বরকত হয় ও রোগের উপশম হয়।
৩২. ইয়া খাবীরুঃ
الْخَبِيرُ يآ
-খবীর, সম্যক ।
এই পাক নাম সর্বদা পড়িলে খারাপ ভাব ও
খারাপ চিন্তা দূর হয়।৭ দিন পর্যন্ত অনবরত পড়িলে
অনেক বাতেনী তত্ত্ব অবগত হওয়া যায়।কোন
খারাপ লোকের চক্রান্তে পড়িলে এই পাক নাম অনেক বার পড়িলে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। অবগত।
৩৩.ইয়া হালিমুঃ
الْحَلِيمُ يآ
-হ়ালীম, ধৈর্যবান, প্রশ্রয়দাতা।
এই পাক নাম অনেক বার পড়িলে ধন-দৌলত, স্থায়ী থাকে ও
শান্তিতে থাকা যায়।এই নাম কাগজে লিখিয়া পানি দ্বারা ধুইয়া
সেই পানি তেজারতি মাল ও দাঁড়িপাল্লায়
ছিটাইয়া দিলে ব্যবসায়ে উন্নতি ও বরকত হয়।
৩৪. ইয়া আযীমুঃ
الْعَظِيمُ يآ
-আযীম, সুমহা।
এই পাক নাম অনেক বার যিকির করিলে
মান-সম্মান বৃদ্ধি হয় ও সকল রোগ হইতে নিরাপদ থাকা যায়।
৩৫. ইয়া গাফুরুঃ
الْغَفُورُ يآ
-গফূর ,মার্জনাকারী,ক্ষমাকারী
এই পাক নাম ৩ বার কাগজে লিখিয়া ধুইয়া পানি
খাইলে রোগের উপশম হয়।এই পাক নামটি বেশী করিয়া
পাঠ করিলে গুনাহ মাফ হয়।
৩৬ ইয়া শাকুরুঃ
الشَّكُورُ يآ
-শাকূর, সুবিবেচক।
প্রত্যহ এই পাক নাম ৪১ বার পড়িয়া পানি
ফুঁক দিয়া ঐ পানি ঘাড়ে ও বুকে মালিশ করিলে
অবস্থা সচ্ছল হইবে,দৃষ্টি শক্তি
বৃদ্ধি পাইবে এবং শরীরের বেদনা দূর হইবে।
৩৭. ইয়া আলিয়্যুঃ
الْعَلِيُّ يآ
-আলিই, মহীয়ান।
এই পাক নাম যিকির করিলে মর্যাদাবান হওয়া
যায়।
৩৮. ইয়া হাফীযুঃ
الْحَفِيظُ يآ
-হ়াফীয, সংরক্ষণকারী।
এই পাক নাম পড়িলে বিপদাপদ হইতে রক্ষা
পাওয়া যায়। এই পাক নাম পড়িয়া খাদ্য
দ্রব্যের উপর ফুঁ দিয়া স্বামী-স্ত্রী
খাইলে উভয়ের মধ্যে গাঢ় ভালোবাসা স্থাপিত হইবে।
৩৯. ইয়া কাবিরুঃ
الْكَبِيرُ يآ
-কাবীর, সুমহান।
এই পাক নাম লিখিয়া সঙ্গে রাখিলে বিপদাপদ
হইতে রক্ষা পাওয়া যায়।কোন হিংস্র জীব-জন্তু কোন প্রকার ক্ষতি
করিতে পারে না।
৪০. ইয়া মুকীতুঃ
الْمُقِيتُ يآ
-মুক্বীত ,লালনপালনকারী।
প্রবাসে এই পাক নাম ৮৭ বার পড়িয়া তৎপর
মাটির পেয়ালায় এই নাম লিখিয়া ঐ পেয়ালা ধোয়া পানি
খাইলে প্রবাসের যাবতীয় ভয় ও বিপদ হইতে
নিরাপদ থাকা যায়।
৪১. ইয়া জালীলুঃ
الْجَلِيلُ يآ
-জালীল ,গৌরবান্বিত।
এই পাক নামটি অনেক বার যিকির করিলে সম্মান
বৃদ্ধি পায়।
৪২. ইয়া কারীমুঃ
الْكَرِيمُ يآ
-কারীম ,উদার, অকৃপণ।
শুইবার সময় এই পাক নামটি বহুবার পড়িলে
সকলের নিকট সম্মানের পাত্র হওয়া যায়।
৪৩. ইয়া রাকীবুঃ
الرَّقِيبُ يآ
-রক্বীব, সদা জাগ্রত,অতন্দ্র
পর্যবেক্ষণকারী।
স্ত্রীলোক গর্ভপাত হইবার ভয় হইলে এই নাম
প্রত্যহ ৭ বার পড়িলে গর্ভপাত নিবারন হয়।প্রবাসে যাইবার সময় সন্তানদের গায়ে হাত
রাখিয়া এই নাম ৭ বার পড়িলে তাহারা নিরাপদে
থাকে। কোন বস্তু হারাইয়া গেলে এই নাম অনেকবার পড়িলে ঐ বস্তু চুরি না হইয়া
থাকিলে পাওয়া যায়।
৪৪. ইয়া মুজীবুঃ
الْمُجِيبُ يآ
-মুজীব, সাড়া দানকারী, উত্তরদাতা।
কোন দুয়া করার পূর্বে এই নাম পড়িয়া লইলে
দোয়া সহজে কবুল হয়।
৪৫. ইয়া ওয়াসিউঃ
الْوَاسِعُ يآ
-ওয়াসি’, অসীম, সর্বত্র
বিরাজমান।
এই নাম যিকির করিলে ধনবান ও সমৃদ্ধশালী
হওয়া যায় এবং মনের চিন্তা দূর হয়।
৪৬. ইয়া হাকীমুঃ
الْحَكِيمُ يآ
-হ়াকীম ,সুবিজ্ঞ, সুদক্ষ।
এই নাম মধ্যরাতে পড়িলে আল্লাহ্ তা'আলা পাঠকারীর
নিকট অনেক গোপনীয় বিষয় প্রকাশ এবং তাহার এলেম বৃদ্ধি করিয়া দিবেন।
৪৭. ইয়া ওয়াদুদুঃ
الْوَدُودُ يآ
-ওয়াদূদ, স্নেহশীল।
এই নাম ১০০১ বার পড়িয়া খাদ্যদ্রব্যের উপর
ফুঁ-দিয়া স্বামীর অবাধ্য স্ত্রীকে খাওয়াইলে অবাধ্য স্ত্রী স্বামীর প্রেমে মত্ত হয়,
অত্যন্ত তাবেদার হয়।
৪৮. ইয়া মাজীদুঃ
الْمَجِيدُ يآ
-মাজীদ, মহিমান্বিত।
ধবল-কুষ্ঠ রোগী প্রত্যেক চাঁদের ১৩,১৪,১৫ তারিখে রোজা
রাখিয়া ইফতারের সময় এই নাম বহুবার যিকির করিলে ইনশাআল্লাহ ঐ
রোগ হইতে আরোগ্য লাভ করিবে।
৪৯. য়া বায়িসুঃ
الْبَاعِثُ يآ
-বা‘ইস় ,পুনরুত্থানকারী।
শয়নকালে বুকের উপর হাত রাখিয়া এই নাম ১০০
বার পড়িলে এলেম ও হিকমতের শক্তি বৃদ্ধি হয়।
৫০. ইয়া শাহীদুঃ
الشَّهِيدُ يآ
-শাহীদ, সাক্ষ্যদানকারী।
সকালে অবাধ্য স্ত্রী-পুত্রের কপাল ধরিয়া
এই নাম ২১ বার পড়িয়া আকাশের দিকে চাহিলে কিংবা ১০০০ বার পড়িয়া তাহাদের উপর
ফুঁক দিলে তাহারা বাধ্য হয়
৫১.ইয়া
হাক্কুঃ
الْحَقُّ يآ
-হাক্ক্ব, প্রকৃত সত্য।
যে ব্যক্তি চার
কোণ বিশিষ্ট কাগজের প্রতি কোণায় ‘আল-হাক্কু’ লেখে সেহরীর সময় কাগজখানি হাতের
তালুতে রেখে আকাশের দিকে উঁচু করে দোয়া করবে, ইনশাআল্লাহ্ সে
হারানো ব্যক্তি বা মাল পেয়ে যাবে এবং ক্ষতি থেকে নিরাপদ থাকবে।
৫২ ইয়া
ওয়াকীলুঃ
الْوَكِيلُ يآ
-ওয়াকীল, সহায় প্রদানকারী,আস্থাভাজন, উকিল।
যে ব্যক্তি
আসমানী বিপদের আশংকায় ভীত হয়ে পড়বে, সে যেন বেশি
মাত্রায় ‘ইয়া ওয়াকীলু’ পাঠ করতে থাকে এবং এ নামকেই তার উকিল বানিয়ে নেয়, এতে করে সে বিপদ থেকে মুক্ত থাকবে।
৫৩.ইয়া
কাভিয়্যুঃ
الْقَوِيُّ يآ
-ক্বউই, ক্ষমতাশালী।
যে ব্যক্তি
বাস্তবেই মজলুম, দুর্বল এবং সবদিক থেকে অক্ষম ও পরাভূত, সে যেন জালেমকে ঠেকাবার জন্য এ নাম বার বার পাঠ করে। এতে করে ইনশাআল্লাহ সে
নিরাপদে থাকবে। কিন্তু সাবধান! এ আমল যেন খামাখা করা না হয়।
৫৪. ইয়া
মাতীনুঃ
الْمَتِينُ يآ
-মাতীন ,সুদৃঢ়, সুস্থির।
যে মহিলার দুধ
হয় না তাকে নামটি কাগজের উপর লিখে তার ধোয়া পানি পান করালে ইশাআল্লাহ্ তার খুব দুধ
হবে।
৫৫.ইয়া অলীয়্যুঃ
الْوَلِيُّ يآ
-ওয়ালিই ,বন্ধু, সাহায্যকারী, শুভাকাঙ্ক্ষী।
যে ব্যক্তি তার
স্ত্রীর অভ্যাস, চাল-চলন ও কথাবার্তায় খুশি হতে পারছে না, সে যখন তার সামনে যাবে তখন এ নাম পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ্ তার
স্বভাব সুন্দর হয়ে উঠবে।
৫৬.ইয়া হামীদুঃ
الْحَمِيدُ يآ
-হ়ামীদ, সকল প্রশংসার দাবীদার, প্রশংসনীয়।
যে ব্যক্তি
একটানা পঁয়তাল্লিশ দিন পর্যন্ত নিয়মিতভাবে একা একা তিরানব্বই বার এ নাম পাঠ করবে, তার মন্দ স্বভাবগুলো ইনশাআল্লাহ্ দূরীভূত হবে।
৫৭.ইয়া মুহ্ছীঃ
الْمُحْصِي يآ
-মুহ়সী ,বর্ণনাকারী, গণনাকারী।
যে ব্যক্তি বিশু
টুকরা রুটির উপর প্রত্যহ বিশ বার এ নাম পাঠ করে দম করবে এবং আহার করবে, সমস্ত মাখলুক তার কথা মানতে শুরু করবে।
৫৮.ইয়া মুবদিউঃ
الْمُبْدِئُ يآ
-মুব্দি’ ,অগ্রণী, প্রথম
প্রবর্তক, সৃজনকর্তা।
যে ব্যক্তি
সেহরীর সময় গর্ভবতী নারীর পেটের উপর হাত রেখে নিরানব্বই বার ‘ইয়া মুবদি’উ নাম পাঠ
করবে, ইনশাআল্লাহ তার গর্ভপাত এবং নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে
সন্তান প্রসব হবে না।
৫৯.ইয়া মুঈদুঃ
الْمُعِيدُ يآ
-মু’ঈদ, পুনঃপ্রতিষ্ঠাকারী, পুনরূদ্ধারকারি।
কোন হারানো
ব্যক্তিকে ফিরে পেতে হলে যখন ঘরের সবাই শুয়ে পড়বে, তখন ঘরের চার
কোণায় সত্তর বার করে ‘ইয়া মু’ঈদু’ নাম পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ সাত
দিনের মধ্যে সে ব্যক্তি ফিরে আসবে কিংবা কোথায় কিভাবে আছে তা জানা যাবে।
৬০.ইয়া মুহ্য়ীঃ
الْمُحْيِي يآ
–মুহ়ীই, জীবনদানকারী।
যে ব্যক্তি
রোগগ্রস্থ সে অধিক পরিমাণ এ নাম পড়তে থাকবে কিংবা অন্য কোন রুগ্ন ব্যক্তির গায়ে দম
করবে, ইনশাআল্লাহ সে সুস্থ হয়ে উঠবে। যে ব্যক্তি
নিরানব্বই বার ‘আল মুহ্য়ী’ পাঠ করে নিজের গায়ে দম করবে, সে যাবতীয় বাধা-বন্ধক বা বন্দী অবস্থা থেকে নিরাপদে থাকবে।
৬১.ইয়া মুমীতুঃ
الْمُمِيتُ يآ
-মুমীত ,ধ্বংসকারী, মৃত্যু
আনয়নকারী।
যে ব্যক্তির নফস
বা প্রবৃত্তি তার নিয়ন্ত্রণে থাকে না, শোয়ার সময় সিনার
উপর হাত রেখে পাঠ করতে করতে ঘুমিয়ে পড়বে। এতে করে ইনশাআল্লাহ তার প্রবৃত্তি
নিয়ন্ত্রিত হবে।
৬২.ইয়া হাইয়্যুঃ
الْحَيُّ يآ
-হ়াইই, চিরঞ্জীব, যার কোন
শেষ নাই।
যে ব্যক্তি
প্রত্যহ তিন হাজার বার (আল-হাইয়্যু) পাঠ করতে থাকবে, সে ইনশাআল্লাহ
কখনও রোগগ্রস্থ হবে না। যে ব্যক্তি এ নাম চীনা বরতনের উপর মেশক ও গোলাপ পানি দিয়ে
লিখে মিঠা পানিতে ধুয়ে পান করবে,
কিংবা অন্য কোন
রুগ্ন ব্যক্তিকে পান করাবে, ইনশাআল্লাহ পূর্ণ আরোগ্য লাভ করবে।
৬৩.ইয়া কাইয়্যুমঃ
الْقَيُّومُ يآ
-ক্বইয়ূম্,অভিভাবক, জীবিকানির্বাহ
প্রদানকারী।
যে ব্যক্তি অধিক
পরিমাণে (আল-কাইয়্যুম) পাঠ করতে থাকবে, মানুষের মধ্যে
তার ইজ্জত সম্মান বেড়ে যাবে। যদি কেউ নির্জনে একা একা এ নাম পাঠ করে, তা হলে সে সচ্ছল হয়ে উঠবে। যে ব্যক্তি ফজর বা সূর্যদয় পর্যন্ত (ইয়া হাইয়্যু
ইয়া কাইয়্যুম) পাঠ করতে থাকবে,
ইনশাআল্লাহ্ তার
অবসাদ অলসতা দূর হয়ে যাবে।
৬৪.ইয়া ওয়াজিদুঃ
الْوَاجِدُ يآ
-ওয়াজিদ, পর্যবেক্ষক, আবিষ্কর্তা, চিরস্থায়ী।
যে ব্যক্তি
আহারের সময় ‘ইয়া ওয়াজিদু’ নাম পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ্ তার
খাদ্য কলবের শক্তি সামর্থ্য ও নূর বাড়িয়ে দিবে।
৬৫.ইয়া মাজিদুঃ
الْمَاجِدُ يآ
-মাজিদ সুপ্রসিদ্ধ।
যে ব্যক্তি একা
একা এ নাম পাঠ করতে করতে আত্মহত্যা হয়ে পড়বে, ইনশাআল্লাহ তার
কলবে আল্লাহর নূর প্রকাশিত হতে থাকবে।
৬৬.ইয়া ওয়াহেদুল আহাদুঃ
الْوَاحِدُ يآ
-ওয়াহ়িদ, এক, অনন্য, অদ্বিতীয়।
যে ব্যক্তি রোজ
এক হাজার বার ‘আল ওয়াহেদুল আহাদু’ পাঠ করতে থাকবে, ইনশাআল্লাহ্ তার অন্তর থেকে মাখলুকের ভয় কিংবা ভালোবাসা দূর হয়ে যাবে। যে
ব্যক্তির সন্তান হয় না সে যদি এ নাম লেখে নিজের সংগে রাখে, তা হলে তার নেককার সন্তান নসীব হবে।
৬৭.ইয়া সামাদুঃ
الصَّمَدُ يآ
-সমাদ, চিরন্তন, অবিনশ্বর, নির্বিকল্প, সুনিপুণ, স্বয়ং
সম্পূর্ণ।
যে ব্যক্তি
সেহরীর সময়ে সেজদায় গিয়ে একশ পনের বা একশ পঁচিশ বার এ নাম পাঠ করবে, সে ইনশাআল্লাহ, জাহেরী বাতেনী সত্যতা লাভ করবে। যে ব্যক্তি
অযু অবস্থায় এ নাম পড়তে থাকবে,
সে কখনও
মাখলুকের মুখাপেক্ষা হবে না।
৬৮.ইয়া কাদিরুঃ
الْقَادِرُ يآ
-ক্বদির ,সর্বশক্তিমান।
যে ব্যক্তি
দু’রাকাত নামায পড়ে একশ বার (আল-কাদিরু) পাঠ করবে, আল্লাহ্ তার
শত্র“কে লাঞ্ছিত অপদস্থ করে দেবেন। যদি কাউকে কোন কঠিন কাজ করতে হয় কিংবা তার কাজে
কোন কঠিন বাধা এসে যায়, সে যেন একচল্লিশ বার ‘ইয়া কাদিরু’ পাঠ করে, তা হলে তার কাজ সহজ হয়ে যাবে কিংবা কঠিন বাধা অপসারিত হবে।
৬৯.ইয়া মুকতাদিরুঃ
الْمُقْتَدِرُ يآ
-মুক্বতাদির, প্রভাবশালী, সিদ্ধান্তগ্রহণকারী।
যে ব্যক্তি শোয়া
হতে উঠার পর অধিক মাত্রায় আল-মুকতাদিরু পাঠ করতে থাকবে, অথবা কমপক্ষে বিশ বার পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ তার
সমস্ত কাজই সহজ এবং সুসম্পন্ন হবে।
৭০.ইয়া মুকাদ্দিমুঃ
الْمُقَدِّمُ يآ
-মুক্বদ্দিম
,অগ্রগতিতে
সহায়তা প্রদানকারী।
যে ব্যক্তি
যুদ্ধের সময় ‘আল মুকাদ্দিমু’ বেশি পরিমাণে পাঠ করতে থাকবে, আল্লাহ পাক তাকে অগ্রে থাকার তওফীক দান করবেন এবং শত্র“দের থেকে হেফাজতে
রাখবেন। আর যে ব্যক্তি সদা সর্বদা এ নাম পাঠ করতে থাকবে, ইনশাআল্লাহ সে আল্লাহ্র অনুগত ও ফরমাবরদার হয়ে যাবে।
৭১.ইয়া মুআখ্খিরুঃ
الْمُؤَخِّرُ يآ
–মুআক্ষির, বিলম্বকারী।
যে ব্যক্তি অধিক
পরিমাণে (আল-মু’আখ্খিরু) পাঠ করতে থাকবে, ইনশাআল্লাহ্ তার
সত্যিকার তওবা নসীব হবে। যে ব্যক্তি প্রত্যহ নিয়মিতভাবে একশ বার এ নাম পড়বে, সে আল্লাহ পাকের নৈকট্য লাভ করবে, যে সে তা ছাড়া
স্থির থাকতে পারবে না।
৭২.ইয়া আউয়ালুঃ
الْأَوَّلُ يآ
–আউয়াল, সর্বপ্রথম, যার কোন
শুরু নাই।
যে ব্যক্তির কোন
ছেলে হয় না, সে চল্লিশ দিন পর্যন্ত প্রত্যহ চল্লিশ বার ,আল-আউয়ালু, পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ তার মকসুদ পূর্ণ হবে। যে ব্যক্তি মুসাফির, সে জুমার নি এক হাজার বার এ নাম পাঠ করলে অতি শীঘ্রই নির্বিঘ ও নিরাপদে বাড়ি ফিরতে সক্ষম হবে।
৭৩.ইয়া আখিরুঃ
الْآخِرُ يآ
আল-আখির, সর্বশেষ, যার কোন
শেষ নাই।
যে ব্যক্তি রোজ
এক হাজার বার ,আল-আখিরু, পাঠ করবে, তার অন্তর থেকে
ইনশাআল্লাহ, গায়রুল্লাহ্র মহব্বত দূর হয়ে যাবে এবং সমগ্র
জীবনের গোনাহ ও ত্রটি বিচ্যুতির কাফফারা হবে। সর্বশেষে সে উত্তম মৃত্যু ,হুসনে খাতেমা, বরণ করবে।
৭৪.ইয়া জাহিরুঃ
الظَّاهِرُ يآ
-জ়়হির
সুস্পষ্ট, সুপ্রতীয়মান, বাহ্য যা
কিছু দেখা যায়।
যে ব্যক্তি
এশরাকের নামাযের পর পাঁচশ বার ,আজ-জাহিরু, পাঠ করবে, আল্লাহ পাক তার
চোখে রোশনী এবং অন্তরে নূর দান করবেন।
৭৫.ইয়া বাতিনুঃ
الْبَاطِنُ يآ
-বাত়িন ,লুক্কায়িত, অস্পষ্ট, অন্তরস্থ
যা কিছু দেখা যায় না।
যে ব্যক্তি
প্রত্যহ ৩৩ বার ,ইয়া-বাতিনু, পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ্ তার
নিকট গুপ্ত রহস্য প্রকাশিত হবে এবং তার অন্তরে আল্লাহর মহব্বত ও ভালবাসা সৃষ্টি
হবে। যে ব্যক্তি দু’রাকাত নামায আদায় করে ,হুয়াল আউয়ালু ওয়াল আখিরু ওয়াজজাহিরু ওয়াল
বাতিনু ওয়া হুয়ু ‘আলা কুল্লিা শাইইন কাদীর, পাঠ করবে, তার সকল অভাব
অনটন ও যাবতীয় প্রয়োজন পূরণ হয়ে যাবে।
৭৬.ইয়া ওয়ালিউঃ
الْوَالِيَ يآ
–ওয়ালী, সুরক্ষাকারী বন্ধু, অনুগ্রহকারী, বন্ধুত্বপূর্ণ
প্রভু।
যে ব্যক্তি অধিক
মাত্রায় ,আল-ওয়ালিউ,পাঠ করবে, সে ইনশাআল্লাহ্
আকস্মিক বিপদ থেকে নিরাপদে থাকবে। চীনা পাত্রে এ নাম লিখে তাতে পানি ভরে সেই পানি
বাড়িতে ছিটিয়ে দিলে যাবতীয় আপদ-বিপদ থেকে মুক্ত থাকবে। কাউকে বশ করতে ইচ্ছা করলে এ
নাম এগার বার পাঠ করবে। ইনশাআল্লাহ সে অনুগত হয়ে যাবে।
৭৭.ইয়া মুতাআলীঃ
الْمُتَعَالِي يآ
-মুতা’আলী ,সর্বোচ্চ্,মহিমান্বিত, সুউচ্চ।
যে ব্যক্তি অধিক
পরিমাণে এই নাম পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ তার যাবতীয় সংকট দূরীভূত হয়ে
যাবে। যে স্ত্রীলোক হায়েজ অবস্থায় এই নাম বেশী মাত্রায় পড়বে, ইনশাআল্লাহ তার কোন কষ্ট হবে না।
৭৮.ইয়া বাররুঃ
الْبَرُّ يآ
-বার্র, কল্যাণকারী।
যে ব্যক্তি মদ্যপান, ব্যভিচার ইত্যাদির ন্যয় দুষ্কর্মে লিপ্ত, সে যদি প্রত্যহ
সাত বার এই নাম পাঠ করে, তা হলে ইনশাআল্লাহ্ তার দুষ্কর্মের ইচ্ছা ও
প্রবণতা দ্রুত কমে যাবে। যে ব্যক্তি দুনিয়ার মহব্বতে অন্ধ হয়ে যায়, সে যদি এ নাম অধিক মাত্রায় পাঠ করে, তা হলে দুনিয়ার
মহব্বত ভালবাসা কমে যাবে। যে ব্যক্তি সন্তান পয়দা হওয়ার পরেই সাত বার এই নাম পড়ে
দম করে আল্লাহর হাতে সোপর্দ করে দিবে, ইনশাআল্লাহ্ সে
সন্তান বালেগ হওয়া পর্যন্ত যাবতীয় বিপদ-আপদ থেকে মুক্ত থাকবে।
৭৯.ইয়া তাওয়াবুঃ
التَّوَّابُ يآ
-তাওয়াব, বিনম্র, সর্বদা
আবর্তিতমান।
যে ব্যক্তি
চাশতের নামাযের পর তিনশ ষাট বার এ নাম পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ্ তার
সত্যিকার তওবা নসীব হবে। যে ব্যক্তি বেশি পরিমাণে এ নাম পড়তে থাকবে, ইনশাআল্লাহ তার সমস্ত কাজ সহজ হবে। যদি কোন জালেমের উপর এ নাম দশ বার পড়ে দম
করা হয়, তা হলে তার হাত থেকে নিস্তার লাভ করবে।
৮০.ইয়া মুনতাকিমুঃ
الْمُنْتَقِمُ يآ
-মুন্তাক্বিম, প্রতিফল প্রদানকারী।
যে ব্যক্তি
সত্যের উপর অবস্থানকারী, কিন্তু দুশমনের সাথে পেরে উঠছে না, সে যদি তিন জুমা পর্যন্ত বেশি পরিমাণে ,ইয়া-মুনতাকিমু, নাম পাঠ করে, আল্লাহ স্বয়ং
তার প্রতিশোধ গ্রহণ করবেন।
৮১.ইয়া আফুওঃ
الْعَفُوُّ يآ
-’আফুউ ,শাস্তি মউকুফকারী, গুনাহ
ক্ষমাকারী।
যে ব্যক্তি বেশি
মাত্রায় আল-আফুও পাঠ করতে থাকবে,
আল্লাহ তার
গোনাহসমূহ মার্জনা করে দিবেন।
৮২.ইয়া রাফুউঃ
الرَّءُوفُ يآ
-র’ওফ, সদয়, সমবেদনা
প্রকাশকারী।
যে ব্যক্তি অধিক
পরিমাণে এ নাম পাঠ করতে থাকবে,
ইনশাআল্লাহ
সমস্ত মাখলুক তার প্রতি সদয় হবে এবং সেও মাখলুকের প্রতি স্নেহশীল হয়ে উঠবে। যে
ব্যক্তি দশ বার দরূদ শরীফ এবং দশ বার এ নাম পাঠ করবে, তার গোস্সা দূরীভূত হবে। আর অন্য কোন ভীষণ রাগী ব্যক্তির উপর এ নাম পড়ে দম
করলে তার রাগ চলে যাবে।
৮৩.ইয়া মালিকুল মুলক্ঃ
مَالِكُ الْمُلْكِ يآ
-মালিকুল
মুলক্ ,সার্বভৌম
ক্ষমতার অধিকারী।
যে ব্যক্তি
সর্বদা ,ইয়া মলিকুল মুলক, পাঠ করবে, আল্লাহ তাকে ধনী এবং অন্য লোকদের অমুখাপেক্ষী করে দেবেন; সে কারুর প্রতি নির্ভরশীল থাকবে না।
৮৪.ইয়া যুল জালালি ওয়াল ইকরামঃ
ذُو الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ يآ
জ়়ুল
জালালি ওয়াল ইকরম ,মর্যাদা ও
ঔদার্যের প্রভু।
যে ব্যক্তি বেশি
পরিমাণে ,ইয়া যাল জালালি ওয়াল ইকরাম, পাঠ করবে, আল্লাহ পাক তাকে ইজ্জত সম্মান এবং মাখলুক থেকে অমুখাপেক্ষীতা দান করবেন।
৮৫.ইয়া মুকসিতুঃ
الْمُقْسِطُ يآ
-মুক্বসিত়, ন্যায়পরায়ণ, প্রতিদানকারী।
যে ব্যক্তি
প্রত্যহ এ নাম পাঠ করবে, সে ইনশাআল্লাহ! শয়তানের কু প্ররোচনা ,ওয়াসওয়াসা, থেকে নিরাপদে
থাকবে। যদি কোন বৈধ ও খাস উদ্দেশ্যে সাত বার এ নাম পাঠ করে, তা হলে সে উদ্দেশ্য সফল হবে।
৮৬.ইয়া জামিউঃ
الْجَامِعُ يآ
-জামি ,একত্র আনয়নকারী, ঐক্য
সাধনকারী।
যে ব্যক্তি
আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব বিক্ষিপ্ত হয়ে যায়, সে চাশতের সময়
গোসল করবে এবং আসমানের দিকে মুখ করে দশ বার ,ইয়া-জামি’উ,পাঠ করবে এবং একটি আঙ্গুল বন্ধ করতে থাকবে
এবং সর্বশেষে উভয় হাত মুখের উপর ফিরাবে। এতে করে খুব শীঘ্রই তারা এক হয়ে আসবে।
যদি কোন জিনিস
হারিয়ে যায় তা হলে পাঠ করবেঃ
,আল্লাহুম্মা ইয়া
জামিআন নাসি লিইয়াওমিল লা রাইবা ফীহি ইজমা যাল্লাতি।
,আল্লাহুম্মা ইয়া
জামিআন নাসি লিইয়াওমিল লা রাইবা ফীহি ইজমা যাল্লাতি।
ইনশাআল্লাহ এতে
করে হারানো জিনিস পাওয়া যাবে। বৈধ ভালবাসার জন্যও এ দোয়া অতুলনীয়।
৮৮. ইয়া গানিয়্যুঃ
الْغَنِيُّ يآ
-গনিই, ঐশ্বর্যবান, স্বতন্ত্র।
যে ব্যক্তি
প্রত্যহ সত্তর বার ,ইয়া গানিয়্যু, পাঠ করবে, আল্লাহ তার
ধন-সম্পদে বরকত দান করবেন। সে কারুর মুখঅপেক্ষী হয়ে থাকবে না। যে ব্যক্তি কোন জাহেরী
বাতেনী ব্যাধি কিংবা বালা-মসিবতে পতিত হবে সে ইয়া গানিয়্যু পাঠ করবে। তার সমস্ত
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং শরীরের উপর দম করলে ইনশাআল্লাহ মুক্তি পাবে।
৮৯ ইয়া মুগনীঃ
الْمُغْنِي يآ
-মুগনি,
সমৃদ্ধকারী, উদ্ধারকারীঃ
যে ব্যক্তি
প্রথমে ও শেষে এগার বার দরূদ শরীফ পাঠ করে এগারশ এগার বার অজীফার মত এ নাম পাঠ
করবে, আল্লাহ পাক তাকে জাহেরী বাতেনী ধন দান করবেন।
ফজরের নামাযের পর কিংবা এশার নামাযের পরে পাঠ করবে। এর সাথে সূরা মুজ্জাম্মিলও
তেলাওয়াত করবে।
৯০.ইয়া মানিউঃ
الْمَانِعُ يآ
-মানি, প্রতিরোধকারী, রক্ষাকর্তা।
যদি স্ত্রীর
সাথে ঝগড়া কিংবা তিক্ততার সৃষ্টি হয়, তা হলে বিছানায়
শোয়ার সময় দশ বার এ নাম পাঠ করবে,
ইনশাআল্লাহ ঝগড়া
ও মনোমালিন্যের অবসান হবে এবং পারস্পারিক মহব্বত বৃদ্ধি পাবে। যে ব্যক্তি বেশি
বেশি এ নাম পড়বে, সে ইনশাআল্লাহ যাবতীয় ক্ষতি ও অনিষ্ট থেকে
নিরাপদে থাকবে। যদি বিশেষ কোন বৈধ উদ্দেশ্যে এ নাম পাঠ করে তাও হাসিল হবে।
৯১.ইয়া দ়়র্রুঃ
الضَّارُّ يآ
-দ়়র্রু, যন্ত্রণাদানকারী, উৎপীড়নকারী।
যে ব্যক্তি
জুমার রাত্রে একশ বার ,আয-র্যারু, পাঠ করবে, সে ইনশাআল্লাহ
যাবতীয় জাহেরী-বাতেনী বিপদ-আপদ থেকে নিরাপদে থাকবে এবং আল্লাহ পাকের নৈকট্য লাভ
করবে।
৯২.ইয়া নাফিউঃ
النَّافِعُ يآ
-নাফি্, অনুগ্রাহক, উপকর্তা, হিতকারী।
যে ব্যক্তি বা
অন্য কোন যানবাহনে উড়ে ,ইয়া-নাফিউ, অধিক পরিমাণে পড়বে, সে ইনশাআল্লাহ সকল বিপদ থেকে মুক্ত থাকবে। যে কোন কাজ শুরু করার সময়ে একচল্লিশ
বার ইয়া নাফি’উ পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ তার সে কাজ আশানুরূপ সম্পন্ন হবে।
যে ব্যক্তি স্ত্রীর সাথে মিলনের সময় এ নাম পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ তার
সন্তান নেককার হবে।
৯৩.ইয়া নূরুঃ
النُّورُ يآ
-নূর ,আলো, উজ্জল।
যে ব্যক্তি
জুমার রাত্রে সাত বার সূরা নূর এবং এ নাম এক হাজার বার পাঠ করবে, আল্লাহ পাক তার অন্তর নূর দ্বারা পূর্ণ করে দেবেন।
৯৪ইয়া হাদিউঃ
الْهَادِي يآ
-হাদী ,পথপ্রদর্শক।
যে ব্যক্তি
আসমানের দিকে মুখ করে দুহাত তুলে অধিক পরিমাণে ,ইয়া-হাদিউ, পাঠ করবে এবং সবশেষে চেহারার উপর হাত ফিরাবে, ইনশাআল্লাহ সে পরিপূর্ণ হেদায়াত এবং মারেফাত লাভের সৌভাগ্য অর্জন করবে।
৯৫.ইয়া বাদীউঃ
الْبَدِيعُ يآ
-বাদী, অতুলনীয়, অনিধগম্য।
যে ব্যক্তি কোন
দুঃখ যন্ত্রণা বা বালা মসিবতে পতিত হয়, সে এক হাজার বার
,ইয়া বাদী’আস সামাওয়াতি ওয়াল আরয, পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ মুক্তি পাবে। যে ব্যক্তি এ নাম অযু অবস্থায় পড়তে পড়তে শয়ন করবে, সে যে কাজের কথা চিন্তা করবে তা স্বপ্নে দেখতে পাবে। যে ব্যক্তি এশার নামাযের
পর ,ইয়া বাদী’আল আজা’ইবি বিলখায়রি ইয়া বাদীউ, বারশ বার দিন
পর্যন্ত পাঠ করবে, সে তার উদ্দেশ্য উক্ত আমল শেষ হওয়ার পূর্বেই
হাসিল করবে। এটা পরীক্ষিত আমল।
৯৬.ইয়া বাকীঃ
الْبَاقِي يآ
-বাকী ,অপরিবর্তনীয়, অনন্ত, অসীম, অক্ষয়।
যে ব্যক্তি
জুমার রাতে এ নাম এক হাজার বার পাঠ করবে, আল্লাহ পাক তকে
সকল প্রকার ক্ষয়-ক্ষতি থেকে রক্ষা করবেন। ইনশাআল্লাহ তার যাবতীয় নেক আমল মঞ্জুর
করা হবে।
৯৭.ইয়া ওয়ারিছুঃ
الْوَارِثُ يآ
-ওয়ারিস়্,সবকিছুর উত্তরাধিকারী।
যে ব্যক্তি
সূর্যোদয়ের সময় একশ বার এ নাম পাঠ করবে, সে ইনশাআল্লাহ
সকল প্রকার দুঃখ-কষ্ট ও বালা-মসিবত থেকে নিরাপদে থাকবে এবং ঈমানের সাথে মৃত্যুবরণ
করবে। আর যে ব্যক্তি মাগরিব ও এশার মধ্যবর্তী সময়ে এক হাজার বার এ নাম পাঠ করবে, সে সর্বপ্রকার পেরেশানী ও উদ্বেগ থেকে নিরাপদে থাকবে।
৯৮.ইয়া
মুগনিয়্যূতঃ
الرَّشِيدُ يآ
-রশীদ ,সঠিক পথের নির্দেশক।
যে ব্যক্তি কোন
কাজ বা মকসুদ হাসিলের তদবির সম্পর্কে কি করণীয় তা বুঝতে অক্ষম হয়ে পড়ে, সে মাগরিব ও এশার মধ্যবর্তী সময়ে এক হাজার বার ,ইয়া রাশীদু, পাঠ করবে। এতে করে ইনশাআল্লাহ্ তা বুঝতে
সক্ষম হবে, কিংবা স্বপ্নে তার তদবির দেখতে পাবে অথবা তার
অন্তরে সে সম্পর্কে এলকা হবে। যদি কেউ প্রত্যহ এ নাম অজীফার মত পাঠ করে, তাহলে, তার সকল বিপদ দূরীভূত হবে এবং তার সমস্ত কারবারে
উন্নতি হবে।
৯৯.ইয়া ছাবূরুঃ
الصبور يآ
-সবুর ,অত্যধিক ধৈর্যধারণকারী।
যে ব্যক্তি সূর্যদয়ের পূর্বে একশ বার এ নাম
পাঠ করেন, সে ঐ দিন যাবতীয় বিপদ থেকে নিরাপদ থাকবে এবং
দুশমন ও হিংসুকের মুখ বন্ধ থাকবে। কেউ যে কোন ধরনের মসিবতে পতিত হোক না কেন, সে যদি এক হাজার বিশ বার এ নাম পাঠ করে, সে তা থেকে
মুক্তি পাবে এবং আত্মার শান্তি লাভ করবে, ইনশাআল্লাহ তার
সে কাজ আশানুরূপ সম্পন্ন হবে। যে ব্যক্তি স্ত্রীর সাথে মিলনের সময় এ নাম পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ তার সন্তান নেককার হবে।
ইসলামে যেসব নাম রাখা হারাম
আল্লাহর নাম নয় এমন কোনো নামের সাথে
গোলাম বা আব্দ ,বান্দা
শব্দটিকে সম্বন্ধ করে নাম রাখা হারাম। যেমন- আব্দুল ওজ্জা অর্থ ওজ্জার উপাসক, আব্দুশ
শামস অর্থ সূর্যের
উপাসক, আব্দুল কামার অর্থ চন্দ্রের উপাসক, আব্দুল
মোত্তালিব অর্থ মোত্তালিবের
দাস, আব্দুল কালাম অর্থ কথার দাস, আব্দুল
কাবা অর্থ কাবাগৃহের দাস, আব্দুন নবী
অর্থ নবীর দাস, গোলাম রসূল
অর্থ রসূলের দাস, গোলাম নবী অর্থ নবীর দাস, আব্দুস
শামছ অর্থ সূর্যের দাস, আব্দুল
কামার অর্থ চন্দ্রের দাস, আব্দুল আলী
অর্থ আলীর দাস, আব্দুল
হুসাইন অর্থ হোসাইনের দাস, আব্দুল
আমীর অর্থ গর্ভনরের দাস, গোলাম
মুহাম্মদ অর্থ মুহাম্মদের দাস, গোলাম
আবদুল কাদের অর্থ আবদুল
কাদেরের দাস গোলাম মহিউদ্দীন অর্থ মহিউদ্দীন
এর দাস ইত্যাদি। তবে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে দেখা যায় নামের মধ্যে আব্দ শব্দটা
থাকলেও ডাকার সময় আব্দ শব্দটা ছাড়া ব্যক্তিকে ডাকা হয়। যেমন আব্দুর রহমানকে
ডাকা হয় রহমান বলে। আব্দুর রহীমকে ডাকা হয় রহীম বলে। এটি অনুচিত। আর যদি দ্বৈত
শব্দে গঠিত নাম ডাকা ভাষাভাষীদের কাছে কষ্টকর ঠেকে সেক্ষেত্রে অন্য নাম নির্বাচন
করাটাই শ্রেয়। এমনকি অনেক সময় আল্লাহর নামকে বিকৃত করে ডাকার প্রবণতাও দেখা
যায়। এ বিকৃতির উদ্দেশ্য যদি হয় আল্লাহকে হেয় করা তাহলে ব্যক্তির ঈমান থাকবে
না। আর এই উদ্দেশ্য না থাকলেও এটি করা অনুচিত।
দুই:
অনুরূপভাবে
যেসব নামকে কেউ কেউ আল্লাহর নাম মনে করে ভুল করেন অথচ সেগুলো আল্লাহর নাম নয় সেসব
নামের সাথে আব্দ বা দাস শব্দকে সম্বন্ধিত করে নাম রাখাও হারাম। যেমন- আব্দুল মাবুদ
মাবুদ শব্দটি আল্লহর নাম হিসেবে কুরআন ও হাদীছে আসেনি; বরং
আল্লাহর বিশেষণ হিসেবে এসেছে, আব্দুল মাওজুদ মাওজুদ শব্দটি আল্লহর নাম
হিসেবে কুরআন ও হাদীছে আসেনি।
তিন:
মানুষ যে উপাধির উপযুক্ত নয় অথবা যে
নামের মধ্যে মিথ্যাচার রয়েছে অথবা অসার দাবী রয়েছে এমন নাম রাখা হারাম। যেমন-
শাহেনশাহ জগতের বাদশাহ বা মালিকুল মুলক রাজাধিরাজ নাম বা উপাধি হিসেবে নির্বাচন
করা। সাইয়্যেদুন নাস মানবজাতির নেতা নাম রাখা। একই অর্থবোধক হওয়ার কারণে মহারাজ
নাম রাখাকেও হারাম বলা হয়েছে।
চার:
যে নামগুলো আল্লাহর জন্য খাস সেসব নামে
কোন মাখলুকের নাম রাখা বা কুনিয়ত রাখা হারাম। যেমন- আল্লাহ, আর-রহমান, আল-হাকাম, আল-খালেক
ইত্যাদি। তাই এসব নামে কোন মানুষের নাম রাখা সমীচীন নয়। পক্ষান্তরে আল্লাহর
নামসমূহের মধ্যে যেগুলো শুধু আল্লাহর জন্য খাস নয়; বরং সেগুলো
আল্লাহর নাম হিসেবেও কুরআন হাদিসে এসেছে এবং মাখলুকের নাম হিসেবেও এসেছে সেসব নাম
দিয়ে মাখলুকের নাম রাখা যেতে পারে। কুরআনে এসেছে-
قَالَتِ امْرَأَةُ الْعَزِيزِ
অর্থ- আলআযিযের স্ত্রী বলেছেন সূরা ইউসুফ, আয়াত: ৫১
আল্লাহর নাম নয় এমন কোন নামের সাথে গোলাম
বা আব্দ বান্দা শব্দটিকে সম্বন্ধ করে নাম রাখা হারাম। যেমন,
আব্দুল মোত্তালিব অর্থ মোত্তালিবের দাস,
আব্দুল
কালাম অর্থ কথার দাস,
আব্দুল
কাবা অর্থ কাবাগৃহের
দাস,
আব্দুন নবী
অর্থ নবীর দাস,
গোলাম রসূল
অর্থ রসূলের দাস,
গোলাম নবী অর্থ নবীর দাস,
আব্দুস
শামছ অর্থ সূর্যের দাস,
আব্দুল
কামার অর্থ চন্দ্রের দাস,
আব্দুল আলী
অর্থ আলীর দাস,
আব্দুল
হুসাইন অর্থ হোসাইনের দাস,
আব্দুল
আমীর অর্থ গর্ভনরের দাস,
গোলাম
মুহাম্মদ অর্থ মুহাম্মদের দাস,
গোলাম
কাদের অর্থ কাদেরের দাস ইত্যাদি।
শেষ কথাঃ
আল্লাহর ৯৯টি নাম আরবি ভাষায়: أسماء الله الحسنى , হলো ক্বুরআনে, ও হাদিসে
বর্ণিত ইসলাম ধর্মমতে ঈশ্বর, আল্লাহর, গুণবাচক
নামের একটি তালিকা বা সংকলন।ইসলাম ধর্মমতে, ঈশ্বরের
বুনিয়াদি নাম বা ভিত্তি নাম একটিই, আর তা হলো
আল্লাহ(الله), কিন্তু
তাঁর গুণবাচক নাম অনেকগুলো।
বিভিন্ন হাদীস অনুসারে, আল্লাহ'র ৯৯টি
নামের একটি তালিকা আছে, কিন্তু তাদের মধ্যে কোনো সুনির্দিষ্ট
ধারাবাহিক ক্রম নেই। তাই সম্মিলিত মতৈক্যের ভিত্তিতে কোনো সুনির্দিষ্ট তালিকাও
নেই। তাছাড়া ক্বুরআন এবং হাদিসের বর্ণনা অনুসারে আল্লাহ'র সর্বমোট
নামের সংখ্যা ৯৯-এর অধিক।
অধিকন্তু আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ কর্তৃক
বর্ণিত একটা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, আল্লাহ
তাঁর কিছু নাম মানবজাতির অজ্ঞাত রেখেছেন।
অনেকগুলো হাদিস দ্বারাই প্রমাণিত যে, মুহাম্মাদ
(সাঃ) আল্লাহর অনেকগুলো নাম-এর উল্লেখ করেছেন।
উদাহরণস্বরূপ, একটি বিশুদ্ধ
হাদিসে হযরত আবু হোরায়রা রাঃ জনাব মুহাম্মাদ সাঃ এর উক্তি বর্ণনা করেন যে,
حَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ وَابْنُ
أَبِي عُمرَ جَمِيعًا عَنْ سُفْيَانَ - وَاللَّفْظُ لِعَمْرٍو - حَدَّثَنَا
سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِلَّهِ تِسْعَةٌ
وَتِسْعُونَ اسْمًا مَنْ حَفِظَهَا دَخَلَ الْجَنَّةَ وَإِنَّ اللَّهَ وِتْرٌ
يُحِبُّ الْوِتْرَ . وَفِي رِوَايَةِ ابْنِ أَبِي عُمَرَ مَنْ أَحْصَاهَا
অর্থাৎ,
আল্লাহ
তাআলার ৯৯টি নাম আছে; সেগুলোকে মুখস্থকারী ব্যক্তি জান্নাতে
প্রবেশ করবে। যেহেতু আল্লাহ তাআলা বিজোড় অর্থাৎ, তিনি একক, এবং এক
একটি বিজোড় সংখ্যা, তিনি বিজোড় সংখ্যাকে ভালোবাসেন। আর ইবনে
উমরের বর্ণনায় এসেছে যে, শব্দগুলো হলো যে ব্যক্তি সেগুলোকে পড়বে।
ক্বুরআনের বর্ণনায় আল্লাহ'র গুণবাচক
নামসমূহকে সুন্দরতম নামসমূহ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। নিম্ন-বর্ণিত দেখুন সূরা, আল-আ'রাফ 7:180, আল-ইসরা 17:110, ত্ব-হা 20:8, আল-হাশর 59:24
The Most
Beautiful names belong to Allah, so call on Him by them, and leave the company
of those who belie or deny His names. They will be requited for what they used
to do. Araf : (180)
সাইয়িদুল ইস্তিগফার (সাইয়েদুল ইস্তেগফার) বা ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ দো‘আ
:
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দৃঢ় বিশ্বাসের
সাথে এই দো‘আ পাঠ করবে, দিনে পাঠ করে রাতে মারা
গেলে কিংবা রাতে পাঠ করে দিনে মারা গেলে, সে জান্নাতী হবে’।
اَللَّهُمَّ
أَنْتَ رَبِّىْ لآ إِلهَ إلاَّ أَنْتَ خَلَقْتَنِىْ وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلى
عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّمَا صَنَعْتُ،
أبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَىَّ وَأَبُوْءُ بِذَنْبِىْ فَاغْفِرْلِىْ،
فَإِنَّهُ لاَيَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ-
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা আনতা রববী লা ইলা-হা ইল্লা আনতা খালাক্বতানী, ওয়া আনা ‘আবদুকা ওয়া আনা
‘আলা ‘আহদিকা ওয়া ওয়া‘দিকা মাসতাত্বা‘তু, আ‘ঊযুবিকা মিন শার্রি মা ছানা‘তু। আবূউ লাকা বিনি‘মাতিকা
‘আলাইয়া ওয়া আবূউ বিযাম্বী ফাগফিরলী ফাইন্নাহূ লা ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা
আনতা।
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তুমি আমার পালনকর্তা। তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তুমি
আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমার দাস। আমি আমার সাধ্যমত তোমার নিকটে দেওয়া অঙ্গীকারে
ও প্রতিশ্রুতিতে দৃঢ় আছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট হ’তে তোমার নিকটে আশ্রয়
প্রার্থনা করছি। আমি আমার উপরে তোমার দেওয়া অনুগ্রহকে স্বীকার করছি এবং আমি আমার
গোনাহের স্বীকৃতি দিচ্ছি। অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা কর। কেননা তুমি ব্যতীত পাপসমূহ
ক্ষমা করার কেউ নেই’।
বুখারী, মিশকাত হা/২৩৩৫ ‘দো‘আ সমূহ’
অধ্যায়-৯, ‘ইস্তিগফার ও তওবা’
অনুচ্ছেদ-৪।
আল্লাহর ৯৯ নামের আমল ও বিভিন্ন মাসনুন দোয়া সম্পর্কে জানতে এই অ্যাপ্টি ডাউনলোড করুনঃ
https://play.google.com/store/apps/details?id=duappsmedia.allahor99nam
আল্লাহর ৯৯ নামের আমল ও বিভিন্ন মাসনুন দোয়া সম্পর্কে জানতে এই অ্যাপ্টি ডাউনলোড করুনঃ
https://play.google.com/store/apps/details?id=duappsmedia.allahor99nam
TiC - Titanium Sports - T-400
ReplyDeleteTiC. TiC is samsung galaxy watch 3 titanium the first of the TiC, titanium piercings manufactured in westcott scissors titanium China. TiC's technology is compatible with all ford ecosport titanium devices running the TiC, a new 2018 ford ecosport titanium portable
নাম সমূহ নির্দিষ্ট সংখ্যকবার পড়ার মাধ্যমে যে সকল ফযীলত বা উপকারিতা উল্লেখ করেছেন তার কোন হাদীস/কিতাবি রেফারেন্স আছে কি অথবা , মনে সূত্র জানতে চাচ্ছিলাম।
Deleteধন্যবাদ, আল্লাহ আপনার মেহনত কবুল করুন।